বাংলাদেশের সর্ব উত্তরে দিন দিন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের দাপট বাড়ছে। হিমালয়ের কাছে হওয়ায় পঞ্চগড় জেলায় হিমালয় থেকে বয়ে আসা শৈত্যপ্রবাহে অনেকটা বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ জেলায় দিনের বেলা কখনও গরম,আবার কখনও রোদের মিষ্টি তাপমাত্রার পর সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতল হাওয়া।
জেলা সদরসহ উত্তরের সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়া ঘুরে দেখা যায়, উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে দিনের শেষে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত গরম কাপড় ব্যবহার করছে স্থানীয়রা। ফুটপাতেও গরম কাপড়ের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। শীতের কারণে রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া ঘুমানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে জানায় পঞ্চগড়বাসী।

স্থানীয়রা জানান, চলতি সপ্তাহ ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে।

মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়। সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বাড়লেও বিকেল ৩টার পর থেকে তাপমাত্রা কমে আসে।

এদিকে ঠান্ডা বাড়ায় জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়।

শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।